পুদুচেরির উপকূলে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন মুম্বইয়ের ২৬ বছর বয়সী টেক-কর্মী ক্ষিতিজ জোদাপে। গভীর বঙ্গোপসাগরের প্রায় ৩৬ মিটার গভীরে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকা ওজনের বেল্ট খুলে যাওয়ায় তিনি অনিয়ন্ত্রিতভাবে দ্রুত জলের উপরের দিকে ভেসে উঠতে শুরু করেন, যা ডাইভারদের জন্য ফুসফুস ফেটে যাওয়ার মতো মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ঠিক সেই সঙ্কটজনক মুহূর্তে তাঁর হাতে থাকা অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা (Apple Watch Ultra)-এর জরুরি সাইরেন ফিচারটি বেজে ওঠায় প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
যেভাবে কাজ করল ওয়াচ আল্ট্রা
ক্ষিতিজ একজন অভিজ্ঞ ডাইভার হওয়া সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না।
সেন্সর সতর্কতা: ওয়াচ আল্ট্রা-র সেন্সর এই দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত উত্থানটি টের পায়। ডাইভিংয়ের নিয়ম হলো ধীরে ধীরে উপরে ওঠা।
সাইরেন ফিচার: সেন্সর বিপদ বুঝে প্রথমে স্ক্রিনে সতর্কতা দেখালেও, দ্রুতই উচ্চস্বরের সাইরেন বাজাতে শুরু করে।
প্রশিক্ষকের উদ্ধার: ক্ষিতিজ বলেন, “জলে দৃশ্যমানতা খুবই খারাপ ছিল। হঠাৎ আমি উপরের দিকে উঠতে শুরু করি। ওই সময় ঘড়ি থেকে উচ্চস্বরের সাইরেন শুনতে পেয়ে দ্রুত ফিরে আসেন আমার প্রশিক্ষক এবং বিপদ থেকে আমাকে উদ্ধার করেন।”
ক্ষিতিজ জানান, ওই সাইরেনটি যে তার মধ্যে ছিল, সেটাই তাঁর জানা ছিল না।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি টিম কুককে
প্রাণ বাঁচানোর পর কৃতজ্ঞতা জানাতে ক্ষিতিজ সরাসরি অ্যাপলের সিইও টিম কুককে একটি চিঠি লেখেন। অবাক করে দিয়ে, কুক নিজেই তাঁর চিঠির উত্তর দেন।
কুক লিখেছেন, “তোমার প্রশিক্ষক দ্রুত সাড়া দিয়ে সাহায্য করেছেন জেনে আমি খুশি। তোমার গল্প আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।”
কীভাবে কাজ করে এই জরুরি সাইরেন?
অ্যাপল ২০২২ সালে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই ওয়াচ আল্ট্রা চালু করেছিল। এর জরুরি সাইরেন ফিচারটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা। বিপদের সময় এটি টানা দুই ধরনের উচ্চস্বর তৈরি করতে পারে, যা ১৮০ মিটার দূর থেকেও শোনা যায় এবং পরিবেশের অন্যান্য শব্দের সঙ্গে মিশে যায় না।
ক্ষিতিজের কথায়, “ওই সাইরেন না বাজলে আজ আমি হয়তো বেঁচে থাকতাম না।”