২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে শাসক তৃণমূলকে টক্কর দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী সভাপতির পদ ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এই জয় জেলা ক্রীড়া ও রাজনৈতিক মহল, উভয় ক্ষেত্রেই জোর জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
DSA নির্বাচনের ফল
বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালনার জন্য গতকাল ২৮টি পদের নির্বাচন হয়। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়:
-
বিজেপির জয়: বিজেপি কার্যকরী সভাপতির পদ এবং একটি লাইফ মেম্বারের পদ দখল করেছে।
-
কার্যকরী সভাপতির ফল: বিজেপি মনোনীত প্রার্থী সুদীপ চক্রবর্তী (মুন্না) তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দাসকে ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
-
তৃণমূলের জয়: বাকি ২৬টি পদে যথারীতি জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।
বিজেপি শিবিরে উচ্ছ্বাস
কার্যকরী সভাপতির পদ তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ায় বিজেপি শিবিরে খুশির হাওয়া। বিজয়ী সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, এই জয় বিজেপির ২০২৬-এর বিধানসভা জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করল।
বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি দানা দাবি করেন, “ডিএসএ’র এই জয় দিয়ে বিহার থেকে বাঁকুড়ায় জয়ের প্রবাহ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০২৬ সালে তা সারা বাংলাজুড়ে প্রবাহিত হবে।” এই জয়ে এদিন গেরুয়া শিবির কার্যত বিজয় উৎসবে মেতে ওঠে।
তৃণমূলের অভিযোগ: গোষ্ঠী কোন্দল
অন্যদিকে, তৃণমূল শিবিরের একাংশের দাবি, গেরুয়া শিবিরের এই জয় আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই সম্ভব হয়েছে। তারা দলবিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী। তবে এই জয় যে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জন্য বাড়তি উৎসাহ যোগাবে, তা বলাই বাহুল্য।