উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে বদলে গেল বিভীষিকায়! পুজোয় ঠাকুর দেখার নাম করে পরিচিত এক যুবকের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হল মাত্র ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। বহরমপুরের সাটুই এলাকায় ঘটেছে এই নৃশংস ঘটনা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে ১৪ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এক যুবক। সে কিশোরীর পূর্ব পরিচিত ছিল। অভিযোগ, বাইকে করে পুজো মণ্ডপে না গিয়ে ওই যুবক তাকে স্থানীয় একটি জনমানবহীন ইটভাটায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়। এই পাশবিক কাজে যুবককে আরও দুজন সঙ্গী সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ।
বাড়ি ফিরে মেয়েটি পরিবারকে সব জানালে পরদিন বুধবার স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধেই পকসো (POCSO) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার রাতেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের জেলার একটি বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনাকে ঘিরে সাটুই সহ গোটা বহরমপুর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উৎসবের মরসুমে এমন পাশবিকতা স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও বুধবার জেলার এক হাসপাতালে করানো হয়েছে। বর্তমানে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।