বাংলাদেশে নৃশংসতা, গভীর রাতে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা, নেপথ্যে কি কারণ ?

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ঘটনাস্থল রাজবাড়ি। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ২৯ বছর বয়সী অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাটকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ির এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ‘ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার অমৃত মণ্ডলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। ঘটনার সময় অমৃতের সাথে থাকা মহম্মদ সেলিম নামে এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং একটি ওয়ান-শুটার গান উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত অমৃতের বিরুদ্ধেও আগে থেকে দুটি মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন, যার মধ্যে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে।

তবে ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয়দের দাবি, অমৃত একটি অপরাধী চক্র পরিচালনা করতেন এবং দীর্ঘকাল ভারতে আত্মগোপন করার পর সম্প্রতি গ্রামে ফিরেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না পেয়ে দলবল নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। সেই সময় বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে অমৃতকে গণপিটুনি দেয়। এই বিশৃঙ্খলার মাঝে অমৃতের অন্য সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও সেলিমকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। পর পর হিন্দু যুবকদের এই অস্বাভাবিক মৃত্যু বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy