বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার এবং মঠ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় এবার চরম হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাফ জানান, ওপার বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং হিন্দুদের রক্ষা করতে প্রয়োজনে কড়া সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবতে হবে। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশে আর একটা ১৯৭১ দরকার। যেভাবে অত্যাচার বাড়ছে, এদের শিক্ষা দিতে হলে এবার ড্রোন পাঠাতে হবে।”
বাংলাদেশে সম্প্রতি ইসকন মন্দির এবং সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত দুই দেশের সীমান্ত রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য সেই আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিরোধী দলনেতার দাবি, ভারত সরকারকে এবার আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে হস্তক্ষেপ করে মুক্তি এনেছিল, এখন পরিস্থিতি আবার সেই জায়গায় পৌঁছেছে। ড্রোন হামলার মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদীদের দমানো জরুরি।”
শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্য়েই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি তাঁর এই মন্তব্যকে ‘অপরিণামদর্শী’ বলে কটাক্ষ করেছে। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে ড্রোন পাঠানোর মতো মন্তব্য করা একজন দায়িত্বশীল নেতার উচিত নয়। তবে নিজের অবস্থানে অনড় শুভেন্দু। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যতদিন না বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে, ততদিন তিনি এবং তাঁর দল সোচ্চার থাকবেন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারকে সীমান্ত সুরক্ষা এবং হিন্দুদের অনুপ্রবেশ ইস্যুতে আরও সংবেদনশীল হতে হবে। এখন শুভেন্দুর এই ড্রোন তত্ত্ব ভারতের বিদেশমন্ত্রক বা ওপার বাংলার সরকার কীভাবে গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।