আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি এবার বাংলা দখলে মরিয়া। এই লক্ষ্য পূরণে রণকৌশল নির্ধারণ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সংগঠন সম্পাদক বি.এল. সন্তোষ, সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বৈঠকে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা, যেমন আরজি করে ধর্ষণ ও খুন প্রসঙ্গটিও আলোচনায় এসেছে। এছাড়া, সংসদে তৃণমূল সাংসদদের তোলা বিভিন্ন অভিযোগ, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, ‘ভাষা বিতর্ক’ এবং এসআইআর (SIR) ইস্যু নিয়ে কীভাবে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্র মারফত জানা গেছে, অমিত শাহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যে, জেলা কমিটি এবং রাজ্য কমিটি গঠনের কাজ আগামী ১৫ই আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। কমিটি গঠনে কোনো সময় নষ্ট করা চলবে না, এবং কর্মঠ, একনিষ্ঠ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদেরই প্রাধান্য দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আরও নির্দেশ দিয়েছেন, বুথ ও মণ্ডল স্তরে পৌঁছে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। এসআইআর-এর গুরুত্ব, ফলাফল এবং পদ্ধতি সম্পর্কে প্রত্যেক মানুষকে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে প্রচার সভা এবং কর্মসূচির সংখ্যা বাড়াতে হবে। শুধু জেতা কেন্দ্র নয়, পার্শ্ববর্তী পরাজিত কেন্দ্রগুলোতেও এসআইআর এবং বাংলা ভাষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপির ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরে প্রচার বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বি.এল. সন্তোষ এবং জে.পি. নাড্ডার মতো নেতারাও বাংলা ও বাঙালির জন্য বিজেপির করা কাজগুলোর তথ্য বই আকারে প্রকাশ করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অমিত শাহ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন হলো বিজেপির জন্য নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের এক বড় সুযোগ। তাই মোদি মডেলকে সামনে রেখে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এবং নির্বাচনের লক্ষ্যে আর কোনো সময় নষ্ট করা চলবে না।