বছরের শেষে মমতার মেগা ধামাকা! বাঁকুড়ার মাটি থেকে কি বড় কোনো ‘খেলা’র ইঙ্গিত দেবেন দিদি?

বছর ফুরনোর আগেই বঙ্গ রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়াতে কোমর বেঁধে নামছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের জমি শক্ত করা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় একটি মেগা জনসভা করতে চলেছেন তিনি। বড়জোড়া কলেজ মাঠে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মূলত জঙ্গলমহল তথা পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলাগুলিতে বিগত নির্বাচনগুলিতে বিজেপি কড়া টক্কর দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে মমতা এই মাটি থেকে ঠিক কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

বাঁকুড়ার সভার ঠিক একদিন আগে, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর কলকাতাতেও রয়েছে মমতার এক বড় চমক। রাজারহাট নিউটাউনে বহু প্রতীক্ষিত ‘দুর্গাঙ্গন’-এর শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি যে স্বপ্নের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, এবার তা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। হিডকোর তত্ত্বাবধানে এই বিশাল কর্মযজ্ঞের শিলান্যাস হবে বিকেল ৪টের সময়। নিউটাউনের ইকো পার্কের কাছে রামকৃষ্ণ মিশনের জমির পাশেই মাথা তুলে দাঁড়াবে এই আধুনিক ‘দুর্গাপীঠ’।

এই প্রকল্পে খরচ হতে চলেছে প্রায় ২৬১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। এটি কেবল একটি মন্দির নয়, বরং বাংলার দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য, পৌরাণিক কাহিনী এবং শিল্পকলার এক অনন্য প্রদর্শনশালা হতে চলেছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে হিডকো এই দুর্গাপীঠকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাইছে, যা পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।

তবে নজর থাকছে বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মঞ্চেই। সাম্প্রতিক জনসভাগুলি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর (SIR) ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন। জঙ্গলমহলের পিচে দাঁড়িয়ে এবার তিনি প্রতিপক্ষকে কী বলে আক্রমণ করেন এবং কর্মীদের মনে কোন মন্ত্র ইনজেক্ট করেন, সেটাই দেখার। বছরের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর এই জোড়া কর্মসূচি তৃণমূলের ভোট বৈতরণী পার করতে কতটা সাহায্য করে, তার উত্তর মিলবে ব্যালটেই।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy