ভারতের সামরিক শক্তিকে আরও মজবুত করে আবারও সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলো ব্রহ্মস (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের। ভারতীয় সেনাবাহিনী দক্ষিণ কম্যান্ডের ব্রহ্মস ইউনিট এবং আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডের সহযোগিতায় গত ১ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে এই সফল কমব্যাট লঞ্চটি পরিচালনা করেছে।
এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের দ্রুততম এই ক্রুজ মিসাইলটির একাধিক সক্ষমতা পরখ করে দেখা হয়। পরীক্ষাটিতে মিসাইলের দিক্নির্দেশনা (গাইডেন্স সিস্টেম), উচ্চগতিতে এর স্থিতিশীলতা, নিয়ন্ত্রণক্ষমতা এবং নিশানায় নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে। অপারেশনাল পরিস্থিতিতে এই সফল পরীক্ষা ভারতীয় সেনার যুদ্ধ প্রস্তুতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল।
রাজনৈতিক তাৎপর্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমনকি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ় শরিফের বক্তৃতাতেও এই ক্ষেপণাস্ত্রের উল্লেখ এসেছিল। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইসলামাবাদকে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল শুধুমাত্র একটি ঝলক এবং পাকিস্তানের প্রতিটি কোণাই ব্রহ্মসের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে শুধু ভারতই নয়, দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসন রুখতে ফিলিপিন্সও ভারত থেকে কেনা ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। ভারত এখন ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতিবেগ বাড়াতে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে। স্থল বা যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্রহ্মসের পাল্লা বর্তমানের ২৯০-৪০০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে নয়া সংস্করণে ৮০০ কিলোমিটার করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, এটিকে সুপারসনিক স্তর থেকে হাইপারসনিক (শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি) স্তরে উন্নীত করার কাজ চলছে।