পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দ্বিতীয় বর্ষের এক মেডিক্যাল ছাত্রীর উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস গণধর্ষণ কাণ্ডে অবশেষে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্ত ও টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন (TI) প্যারেড রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এই জঘন্য অপরাধের মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন নির্যাতিতা তরুণীর নিজের প্রেমিক ও সহপাঠী!
সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে এই মামলার নতুন মোড় প্রকাশ পায়। এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফিরদৌস শেখ সহ মোট ছ’জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সহপাঠীই ছিল ‘মাস্টারমাইন্ড’
মামলার আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, এই কাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী বা “মাস্টারমাইন্ড” ছিলেন ওই তরুণীরই সহপাঠী প্রেমিক।
আইনজীবীর দাবি: “আমাদের কাছে থাকা তথ্য ও পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে যে, ওই সহপাঠীই পরিকল্পনা করেছিল কীভাবে এবং কোথায় ঘটনাটি ঘটবে। ফিরদৌস এবং বাকিরা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে।”
জানা গিয়েছে, ১০ অক্টোবর রাতে ওই তরুণীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন জঙ্গলে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।
দ্রুত চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ
এদিন ভার্চুয়াল শুনানিতে অভিযুক্তরা নিজেরাই বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানালেও, আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
হেফাজত বৃদ্ধি: অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে আদালত।
বিচারকের কড়া নির্দেশ: বিচারক স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত না করার জন্য পুলিশকে দ্রুত চার্জশিট দাখিল করতে হবে। যদি পুলিশ ৩১ অক্টোবরের আগে চার্জশিট দাখিল করে, তবে এই মামলায় দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ওড়িশা থেকে পড়তে আসা ওই মেডিক্যাল ছাত্রী বর্তমানে মানসিক ট্রমা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁকে সুরক্ষার জন্য বিশেষ মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্রসমাজ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।