প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্যের কারা ও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মন্ত্রীর দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকা জমা পড়েছিল। কিন্তু এই বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কে মন্ত্রী কোনো সন্তোষজনক তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
এর আগে, জুলাই মাসে নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা দুইবার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার তিনি ইডির দফতরে হাজিরা দেন। যদিও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি। এরই মধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা জমা পড়ার তথ্য প্রকাশ্যে এলো।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে ইডি এর আগে মন্ত্রীর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই সময় তার বাড়ি থেকে নগদ ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রের দাবি, এই বিপুল অঙ্কের টাকারও কোনো সঠিক উৎস তিনি জানাতে পারেননি।
বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জড়িয়ে পড়ে। এরপরই তার বাড়িতে তল্লাশি এবং তাকে তলব করা হয়। জানা গেছে, ইডি চার্জশিটে মন্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে আবেদন জানিয়েছে এবং রাজ্যপাল সেই তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীরা এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। রাজ্যের একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ সামনে আসায় তৃণমূল কংগ্রেসও অস্বস্তিতে পড়েছে।