প্রাচীন বটগাছের নীচে সারি সারি মৃতদেহ, পাখিদের বাঁচাতে তৎপর বন দফতর, বিষ প্রয়োগের সন্দেহে বাড়ছে চাঞ্চল্য

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের আম্বিডাঙ্গর এলাকায় চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে একাধিক পাখির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন একটি বটগাছের নীচে দেশীয় ও বিদেশী পরিযায়ী পাখির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে যে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা প্রাচীন এই বটগাছে বিষ প্রয়োগের কারণেই এত পাখির মৃত্যু হয়েছে।

প্রশাসনের পদক্ষেপ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা

পাখি মৃত্যুর ঘটনায় নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন ও বন দফতর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে:

  • জল দিয়ে গাছ পরিষ্কার: বন দফতরের তৎপরতায় দমকল কর্মীরা এসে গাছটিকে ধুয়ে দেন। কিন্তু এরপরেও একাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে।

  • ফরেনসিক পরীক্ষা: ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে গাছটির ফল, পাতা এবং ডালের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

  • পাখি তাড়ানোর উদ্যোগ: প্রতিদিন পাখি মৃত্যুর ঘটনায়, বন বিভাগ এখন ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। গাছে পাখি বসলেই টিন বা অন্যান্য শব্দ বাজিয়ে সতর্কতার সঙ্গে পাখিদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেখানে লোক নিযুক্ত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পাখিরা এখন গাছে বসে ফল খেতে পারছে না, যা মৃত্যু ঠেকানোর সাময়িক ব্যবস্থা।

পরিবেশপ্রেমীদের উদ্বেগ

রবিবার থেকে এই প্রাচীন বটগাছের কাছে প্রায় শতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একাধিক পরিযায়ী পাখিও রয়েছে। প্রতি বছর শীতকালে ভিনদেশ বা রাজ্য থেকে হাজার হাজার পাখি পাকা বটফল খেতে এই গাছে আসে।

পরিবেশপ্রেমী সন্দীপ দাস বলেন, “পাখি মৃত্যুর পর একদিকে তৎপর হয়েছে বন বিভাগ। কিন্তু শীতকালে যখন এত পাখি আসে, তখন এত সংখ্যক পাখির মৃত্যু নিঃসন্দেহে বেশ চাঞ্চল্যকর।” এত সংখ্যক পরিযায়ী পাখির মৃত্যুতে পরিবেশপ্রেমী মহলে গভীর উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy