ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় ফের ঘটল নকশাল হামলার ঘটনা। পুলিশ ইনফর্মার সন্দেহে মুজালকাঙ্কেরে সত্যম পুনেম নামে এক বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে মাওবাদীরা। সোমবার রাতে ইলমিডি থানার অন্তর্গত এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মাওবাদীদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ ঘোষণা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতে লেখা প্রচারপত্র উদ্ধার হয়েছে। মাওবাদী মাডেড এরিয়া কমিটির প্রকাশিত ওই লিফলেটে বলা হয়েছে, সত্যম পুনেমকে তিনবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি গোপনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এবং সহযোগিতা করছিলেন। তাই তাঁকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হয়েছে।
নকশালদের টার্গেটে বিজেপি কর্মীরা
এই বছরই বস্তার অঞ্চলের সাতটি জেলায় নকশাল-সম্পর্কিত বিভিন্ন হামলায় প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই সত্যম পুনেমের হত্যাকাণ্ডে নকশাল আতঙ্ক আরও বাড়ল। তথ্যানুযায়ী, গত দু’বছরে (২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) মোট ১১ জন বিজেপি নেতা ও কর্মীকে খুন করেছে নকশালপন্থীরা।
এর আগে গত বছর এমনই এক ঘটনায় বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক বীরজু তরাম মহলা-মানপুর-অম্বাগড় চৌকি জেলার সারখেদা গ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় মাওবাদীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। স্থানীয় নির্বাচনী বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল।
চলতি বছরেও বিজেপি নেতারা বারবার মাওবাদীদের নিশানা হয়েছেন। জুন মাসে বিজাপুর জেলাতেই খুন হয়েছিলেন স্থানীয় এক বিজেপি নেতা। আবার ফেব্রুয়ারি মাসে বস্তার অঞ্চলে একের পর এক তিনজন বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়।
স্থানীয় বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, বারবার হামলার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন বা পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আজও নকশাল আতঙ্কে দিন কাটছে বহু রাজনৈতিক কর্মীর। এই হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।