পাহাড়ের ৩১৩ শিক্ষকের বড় জয়! চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের, আপাতত স্বস্তিতে জিটিএ

বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই ৩১৩ জন শিক্ষক ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, যেহেতু এই শিক্ষকরা দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাই হঠাৎ চাকরি বাতিল হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জিটিএ-র আইনজীবী দিগেন লামা জানিয়েছেন, “আদালত আপাতত তিন মাসের সময় দিয়েছে এবং রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করতে বলেছে। যথাযথ বিচারের জন্য এই সময়টুকু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।” অন্যদিকে, আদালতের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত পাহাড়ের শিক্ষক সমাজ। প্রাথমিক শিক্ষিকা সারিকা গুরুং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আদালতের রায়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা বিচার ব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ আস্থাশীল ছিলাম। এই সময়টুকু আমাদের লড়াইয়ে অক্সিজেন জোগাবে।” আপাতত ১২ সপ্তাহ বা প্রায় তিন মাস তাঁদের চাকরিতে কোনও আঁচ পড়ছে না, যা পাহাড়ের রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy