পারিবারিক অশান্তির জেরে চরম পদক্ষেপ নিলেন এক দম্পতি। রবিবার রাতে দেড় বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে চলন্ত মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দেন তাঁরা। এই মর্মান্তিক আত্মহত্যার খবর সহ্য করতে না পেরে শোকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ঠাকুমারও। এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাপাডা রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ কাপাডা রেলস্টেশনে মালবাহী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ৩৫ বছর বয়সী শ্রীরামুলু এবং তাঁর স্ত্রী ৩০ বছর বয়সী সিরিশা। তাঁদের কোলে ছিল দেড় বছরের সন্তান ঋত্বিক। ট্রেনের ধাক্কায় তিন জনেই গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঝগড়ার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে তীব্র পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। ঝগড়া চরম পর্যায়ে পৌঁছালে শ্রীরামুলুর ঠাকুমা হস্তক্ষেপ করেন এবং তাঁদের বকাবকি করে থামানোর চেষ্টা করেন।
অশান্তি থামলেও স্বামী-স্ত্রীর রাগ প্রশমিত হয়নি। রাতেই তাঁরা দেড় বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অপেক্ষা করার পর একটি মালগাড়ি আসতে দেখে তিন জনেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন।
ঠাকুমার হৃদয়বিদারক পরিণতি
এদিকে, নাতি-নাতবউ এবং তাঁদের শিশুর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারেননি শ্রীরামুলুর ঠাকুমা। এই আত্মহত্যার খবর শোনার পরেই তিনি শোকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁরও মৃত্যু হয়।
পারিবারিক বিবাদের জেরে এক রাতে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।