“পাকিস্তানে ভারত-তালেবান একইসঙ্গে আঘাত হানতে পারে”- ভয়ে বিতর্কিত মন্তব্য পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

সীমান্তে তালেবানের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ফের ভারত-বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ ‘দ্বিমুখী যুদ্ধের’ জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তাঁর মতে, ভারত যে কোনও মুহূর্তে সীমান্তে ‘নোংরা পদক্ষেপ’ করতে পারে।

খোয়াজা আসিফ বলেন, “পাকিস্তান দ্বিমুখী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বড় সম্ভাবনা রয়েছে ভারত সীমান্তে যে কোনও মুহুর্তে নোংরা খেলা খেলে দিতে পারে। ইসলামাবাদ সে কারণে সমস্ত স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে রেখেছে। অবশ্যই এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বড়সড় আশঙ্কা রয়েছে, সীমান্তে কিছু একটা হবে।”

‘দিল্লিই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, চলছে ছায়া যুদ্ধ’
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। কারণ, এর আগেও খোয়াজা আসিফ সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন যে তালেবান সরকার ভারতের প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে আদৌ সংঘর্ষবিরতি হবে কি না। কারণ তালেবানের হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দিল্লি। এখন দিল্লি কাবুলের সঙ্গে ছায়া যুদ্ধ লড়ছে।”

তালেবানের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি সপ্তাহখানেকের ভারত সফর সেরে আফগানিস্তানে ফিরতেই খোয়াজা আসিফের এই মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, “ভারত থেকে সবে ফিরেছেন মুত্তাকি। দেখা যাক কী নিয়ে এসেছেন সঙ্গে করে।” প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সমস্ত স্ট্র্যাটেজি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তবে তা প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়।

আফগান শরণার্থীদের নিশানা
তালেবানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের মাঝেই দেশে বসবাসকারী আফগান শরণার্থীদের কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখা উচিত। গত পঞ্চাশ বছরে আফগানিস্তানের সব শাসক, তা সে ১৯৭০ হোক, ৮০, ৯০ হোক কিংবা এই শতাব্দীর প্রথম দিকের দশক, সবাই কোনও না কোনও সময়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই কখনও পাকিস্তানের সাহায্যের স্বীকৃতি দেয়নি। আমরা তাদের কাছ থেকে কী পেয়েছি? সন্ত্রাসবাদ ছাড়া কিছুই না।”

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, এই সম্পর্কের কারণেই পাকিস্তান নিজের শান্তি নষ্ট করেছে। খোয়াজা আসিফের প্রশ্ন, “এখন যখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে, তারা কেন ফিরে যাচ্ছে না? এই সংখ্যাগরিষ্ঠের ফিরে যাওয়া উচিত।”

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy