রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও প্রথমবার বিদেশ সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজই দু’দিনের সফরে তিনি দিল্লিতে পা রাখবেন। ২৩তম বার্ষিক ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন পুতিন। এই সফরের ঠিক আগে, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে রাশিয়ার পার্লামেন্ট ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ‘RELOS’ চুক্তি অনুমোদন করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবং পশ্চিমা দেশগুলির ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে এটিই প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রথম ভারত সফর। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে এই সফরকে ‘বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুতিনের সফরের গুরুত্ব: আন্তর্জাতিক চাপ ও প্রতিরক্ষা চুক্তি
এই সফরটি ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে যখন রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে ওয়াশিংটনের চাপ বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
-
মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি: ভারতের রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ক্রয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প সরকার ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে মোট শুল্ক ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
প্রতিরক্ষা চাপ: ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কমাতে ভারতকে চাপ দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, পুতিনের ভারত সফর কার্যত পশ্চিমী চাপ উপেক্ষা করে বন্ধুত্বের বার্তা দিচ্ছে।
-
ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: ভারত সফরে আসার ঠিক আগে, রাশিয়ার পার্লামেন্ট (ডুমা) ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি—রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিকস সাপোর্ট (RELOS)—অনুমোদন করেছে। এই চুক্তিটি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত করবে।
এই পদক্ষেপগুলি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।