তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এই বিস্ফোরক মন্তব্যটি তিনি করেন বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে। অন্যদিকে, লোকসভার দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের প্রথম বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলনেতার চেয়ারটি ফাঁকা রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসা এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলনেতার চেয়ারটি ফাঁকা রেখে তিনি তার পাশের আসনে বসেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও দলের অভ্যন্তরে ঐক্য বজায় আছে বলে দাবি করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বর্তমান টিমের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। মিডিয়া যতই খুঁত খোঁজার চেষ্টা করুক, সবাই একসঙ্গে আছে।”
বৈঠকে অভিষেক দলীয় সাংসদদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং লোকসভার কার্যক্রমে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। দলের অগ্রাধিকার যে বাংলা, সে কথাও তিনি স্পষ্ট করেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “কল্যাণ দা সকালে জানিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টে তার একটি মামলা আছে। আমি তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলব।”
এদিকে, দিল্লি যাওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কমিশনের দায়িত্ব আদর্শ আচরণবিধি ঘোষণার পর শুরু হয়। কিন্তু নির্বাচন এখনও প্রায় ১০-১১ মাস দূরে। তারপরেও কমিশন যেভাবে কাজ করছে, তা সরকারের কাজে বাধা দেওয়ার শামিল।” তার এই অভিযোগ রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যা আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।