উৎসবের আবহেই চরম বিষাদ! কর্ণাটকের শিবামোজ্ঞা এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালের নার্সেস কোয়ার্টারে ১২ বছরের কন্যা সন্তানকে খুন (Murder) করে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক মহিলা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, মানসিক অবসাদের জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
মৃতার নাম শ্রুতি, তাঁর স্বামীর হাসপাতালে ল্যাবরেটরির টেকনিশিয়ান।
দরজা ভেঙে উদ্ধার মৃতদেহ
হাসপাতাল কর্মী স্বামী রাতের শিফটের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখেন, দীর্ঘক্ষণ কলিং বেল বাজিয়েও কোনো সাড়াশব্দ নেই। চিন্তিত হয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই তিনি দেখেন সেই মর্মান্তিক দৃশ্য:
মেয়ের মৃত্যু: ১২ বছরের কন্যা সন্তান পূর্বীকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক অনুমান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে সজোরে আঘাতের জেরে তার মৃত্যু হয়েছে।
মায়ের ঝুলন্ত দেহ: স্ত্রী শ্রুতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শ্রুতি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং সেই কারণেই নিজের হাতে সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনায় খুন এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের ওই কর্মী।
এক মাসে কর্ণাটকে একই ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা
এই মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এল কর্ণাটকের আরও এক একই ধরনের ঘটনা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর উল্লাল শহরে স্ত্রী মঞ্জুকে (২৭) খুন করে ধর্মশীলন (২৯) নামক এক ব্যক্তি আত্মঘাতী (Suicide) হন। মৃতা মঞ্জু দেবী পেশায় একজন নার্স ছিলেন।
মৃতার বাবা দাবি করেন, জামাই ধর্মশীলন তাঁর মেয়ে মঞ্জুকে খুন করার পরই নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। জানা যায়, দুবাইয়ে শ্রমিকের কাজ করা ধর্মশীলন এক মাস আগে ভারতে ফিরে মঞ্জুর সঙ্গে থাকা শুরু করেন।
এক মাসের মধ্যে কর্ণাটকের দুই জায়গায় এমন দুটি ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।