কর্নাটকের শিবামোগ্গায় সরকারি হাসপাতালের নার্সদের কোয়ার্টারে এক মর্মান্তিক জোড়া রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এক গৃহবধূ নিজের ১২ বছর বয়সী মেয়েকে খুন করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মৃত গৃহবধূর নাম শ্রুতি। তাঁর স্বামী পেশায় ওই হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান।
উদ্ধার: নাইট শিফ্ট সেরে ভোরে বাড়ি ফিরে শ্রুতির স্বামী দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন।
মর্মান্তিক দৃশ্য: তিনি দেখেন তাঁদের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে পূর্বিকা নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পূর্বিকার মাথায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।
ঝুলন্ত দেহ: পূর্বিকার নিথর দেহের উপর সিলিং থেকে ঝুলছিল তার মা শ্রুতির দেহ।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও পুলিশের তদন্ত
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রুতি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। এই কারণেই তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ এই ঘটনায় রহস্যমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। মৃত্যু কারণ জানতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষত, মা কেন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটালেন, তা তদন্ত করে দেখছে কর্নাটক পুলিশ। এই জোড়া মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাসপাতালে এবং কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায়।