ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (IMD) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলঙ্কার উপকূল ছুঁয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আগামী ৩০ নভেম্বর ভোর নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে উত্তর তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি এবং সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস (Heavy Rainfall Alert):
| অঞ্চল | সময়কাল | তীব্রতা ও বিশেষ সতর্কতা |
| তামিলনাড়ু ও পণ্ডিচেরি | ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর | ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (আজ ও আগামীকাল কিছু এলাকায় অতিভারী বর্ষণ)। ৩০ নভেম্বর তীব্রতা সর্বোচ্চ হবে। |
| উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশ ও ইয়ানাম | ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর | ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ প্রভাব ৩০ নভেম্বর। |
| কেরল ও মাহে | আজ ও আগামীকাল (২৮-২৯ নভেম্বর) | ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। |
| তেলঙ্গানা | ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর | বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। |
| কর্ণাটক | ২৯ নভেম্বর | ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। |
বজ্রঝড় ও বিদ্যুৎচমক সতর্কতা:
২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে বজ্রঝড় ও বিদ্যুৎচমকের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও কেরল, মাহে, উপকূলবর্তী অন্ধ্র, দক্ষিণ কর্ণাটক, উত্তর কর্ণাটক, এবং আন্দামান-নিকোবরেও ঝোড়ো বাতাসসহ বজ্রঝড় হতে পারে। আন্দামান-নিকোবরে বাতাসের গতি ৩০ থেকে ৪০ কিমি/ঘণ্টা থাকবে।
দেশের তাপমাত্রার পূর্বাভাস:
-
উত্তর-পশ্চিম ভারত: আগামী দু’দিন ন্যূনতম তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে, এরপর আবার কমবে।
-
মধ্য ভারত: পরবর্তী দু’দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে।
-
পূর্ব ভারত: আগামী তিন দিন ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা।
-
পশ্চিম ভারত: প্রথম ২৪ ঘণ্টা তেমন পরিবর্তন নেই, তার পরবর্তী চার দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুয়াশা সতর্কতা (Fog Alert):
২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর হিমাচল, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে। পাঞ্জাব (২৮ থেকে ২৯ নভেম্বর), পূর্ব রাজস্থান (৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর) এবং ৩ থেকে ৪ ডিসেম্বর রাজস্থানের আরও কিছু এলাকায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য নির্দেশিকা:
মৎস্যজীবীদের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও শ্রীলঙ্কা উপকূলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের সরকারি সতর্কতা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে, কারণ বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা আগামী ঘণ্টাগুলোতে বাড়বে। কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নজরে রেখে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে।