পাঁশকুড়া ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খানের বিরুদ্ধে এবার আরও গুরুতর তথ্য সামনে এল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওই অভিযুক্ত নিয়মিতভাবে কর্মীদের উপর অত্যাচার ও শোষণ করত।
অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টে কী উল্লেখ?
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়ের কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ কমিটি। এই রিপোর্টে অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খানের পূর্বের কৃতকর্মের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে:
নিয়মিত অত্যাচার ও শোষণ: রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খান নিয়মিত অত্যাচার-শোষণ করত।”
অতিরিক্ত কাজ ও ভয়: ভুক্তভোগী কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করার পর রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, জাহির আব্বাস খান ভয় দেখিয়ে কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নিতো।
অভিযোগ জানাতে অপারগ: কর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জাহিরের ভয়ে তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগ জানাতে পারেননি।
নজরদারির অভাব: রিপোর্টে আরও একটি গুরুতর দিক উঠে এসেছে, সেটি হলো—ঠিকাদার সংস্থায় নজরদারির কোনো ব্যবস্থাপনা ছিল না।
হাসপাতালের ঠিকা সংস্থার কর্মী এবং অন্যান্য কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করার পরই এই যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবার এই রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে জমা দেবেন।
পাঁশকুড়া ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে একদিকে যেমন পুলিশ সক্রিয়, অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্টে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র স্পষ্ট হলো।