দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ, ধৃত ৫ অভিযুক্তের পরিচয় ফাঁস

দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বয়ান নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ (Reconstruction) করেছে তদন্তকারী দল। এই মামলার তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে।

গ্রেফতার হওয়া ৫ অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা হলো— শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি, ফিরদৌস শেখ, নাসিরউদ্দিন এবং সফিক শেখ। ধৃত সফিক শেখকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ধৃতদের পরিচয় ও পেশা:
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং একজন স্থানীয় পুরসভার অস্থায়ী কর্মী।

১. শেখ রেয়াজউদ্দিন (৩১ বছর):

বাড়ি: আইকিউ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশেই দুর্গাপুর বি জোনের বিজড়া ডাঙাপাড়ায়।

পেশা: বছর কয়েক আগে এই হাসপাতালেরই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। তবে পরিবারের দাবি, সে স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে দিয়েছিল এবং এখন ঘুরে বেড়ায়।

২. ফিরদৌস শেখ (২৩ বছর):

পেশা: দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী ছিল। জেনারেল ডিউটি অ্যাটেনডেন্টের (GDA) কাজ করত। ঘটনার দিন সকালে তার মর্নিং শিফটে কাজ ছিল।

৩. শেখ নাসিরউদ্দিন (২৩ বছর):

পেশা: দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, ধৃতের বাবা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী।

৪. অপু বাউড়ি (২১ বছর):

বাড়ি: বিজড়া ভাঙাপাড়ায়। পরিবারের দাবি, অপু দিনমজুরের কাজ করে। অপুর স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী রাতে বাড়িতেই ছিল এবং তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

৫. সফিক শেখ (৩০ বছর):

সফিক শেখকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিচয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতিতা তরুণীর পাশাপাশি অভিযুক্তদেরও বয়ান নিয়েছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে তদন্তকারীরা বুঝতে চাইছেন, ঠিক কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল এবং অভিযুক্তদের ভূমিকা কী ছিল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy