দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হলো। একটি মামলা করেছে বিজেপি, অন্যটি দায়ের করেছে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১. ধরনা চালিয়ে যাওয়ার আবেদন বিজেপির
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার হাসপাতালে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সেখানকার প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ধরনায় বসেন।
আবেদনের কারণ: পুলিশের তরফ থেকে ধরনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি না মেলায় বিজেপির তরফ থেকে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়।
আবেদন: আবেদনে দুর্গাপুর আসানসোল অথরিটি কার্যালয়ের সামনে আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত: অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।
২. কলেজে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি
অন্যদিকে, ধরনা ও বিক্ষোভের জেরে কলেজে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের বক্তব্য: কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কলেজে পরীক্ষা চলছে। এই পরিস্থিতিতে রোজ ১০০-১৫০ লোক কলেজে ঢুকে পড়ছে। তাতে পরীক্ষা নেওয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হচ্ছে।
আবেদন: বাইরের এত লোক যাতে কলেজে না ঢুকতে পারে এবং তাঁদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়।
সিদ্ধান্ত: বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে খবর, এই দুটো মামলাই এই সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পরবর্তী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের উপর প্রভাব ফেলবে।