শেষ মুহূর্তের পরিবর্তনে বদলে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের সূচি। প্রাথমিকভাবে মিরিক যাওয়ার কথা থাকলেও, লাগাতার বৃষ্টি ও ভয়াবহ ভূমিধসে দার্জিলিঙের যে এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সুখিয়াপোখরিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এদিন কার্শিয়াং থেকে সড়কপথে ওই এলাকায় যাবেন তিনি এবং সেখানকার ত্রাণ শিবিরে যোগ দেবেন। সেখানে ত্রাণ বিলির পাশাপাশি বিপর্যয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেবেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র। এরপর সেখান থেকে তিনি সরাসরি দার্জিলিঙে পৌঁছে যাবেন। উল্লেখ্য, সোমবারও বন্যা বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় গিয়ে দশ জনের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জিটিএ-এর রিপোর্টে ₹৯৫০ কোটির ক্ষতি:
পাহাড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। মঙ্গলবার জিটিএ প্রধান অনীত থাপা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তুলে দেবেন বলে জানা গেছে। জিটিএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বিপুল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে পাহাড়ে মোট ৯৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে:
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয়বার উত্তরবঙ্গ সফর শুধু বিপর্যয় পরিদর্শন ও ত্রাণ বিলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সামনেই নির্বাচন। তাই এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সফরের ফাঁকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠক আয়োজিত হতে পারে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক শিবির।