তেলেঙ্গানায় গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সময়মতো তহবিল বিতরণে বর্তমান কংগ্রেস সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। রবিবার দলের সভাপতি এন. রামচন্দ্র রাও অভিযোগ করেন, এই বিষয়ে কংগ্রেস সরকার পূর্ববর্তী বিআরএস সরকারের থেকে কোনো অংশে কম নয়, যারা স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে রেখেছিল।
মইনাবাদ মণ্ডলের শ্রীরামনগর গ্রামে দলের চলমান জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রামচন্দ্র রাও দৃঢ়ভাবে দাবি করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এসে ‘দ্বি-ইঞ্জিন সরকার’ গঠন না করলে গ্রামীণ উন্নয়ন এবং মানুষের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব নয়। তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে তবেই উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।
রাও বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গ্রামগুলির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে খাদ্যশস্য, আবাসন, গ্যাস সংযোগ, চিকিৎসা বীমা, শৌচাগার নির্মাণ, মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদান, এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা চালু করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন যে, গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, কৃষক যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন, শৌচাগার, রাস্তার আলো, শ্মশান/শ্মশানঘাট তৈরি এবং বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজগুলি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের মাধ্যমেই সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জমির মালিক নির্বিশেষে প্রতিটি কৃষককে প্রতি বছর প্রতি একরে ৬,০০০ টাকা করে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যা কৃষকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
রামচন্দ্র রাও দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তা জনগণের কাছে সঠিক ও কার্যকরভাবে প্রচার করতে হবে। তিনি স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থন করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে গ্রামের ভাগ্য এবং মানুষের জীবিকায় প্রকৃত পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
এই আক্রমণ বর্তমান কংগ্রেস সরকারের ওপর চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন এবং তহবিল বিতরণের মতো বিষয়গুলি সামনে এসেছে। আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে এই বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।