পণ হিসেবে নগদ টাকা আর সোনার গয়না না মিললেই জুটত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। আর সেই পণের লোভেই মাত্র তিন বছরে পরপর তিনটি বিয়ে করে বসলেন বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা পিন্টু বার্নওয়াল। কোনো স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই একের পর এক বিয়ের পিঁড়িতে বসা এই ‘সিরিয়াল হাজব্যান্ড’কে শেষপর্যন্ত শ্রীঘরে পাঠাল পুলিশ। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মিলিত অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিন্টুকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালে খুশবু কুমারীর সঙ্গে পিন্টুর বিয়ে হয়। খুশবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর ওপর নারকীয় অত্যাচার চালাত পিন্টু। প্রাণের ভয়ে তিনি বাপের বাড়ি চলে গেলে পিন্টু দ্বিতীয় বিয়ে করেন গুড়িয়া কুমারীকে। গুড়িয়ার দাবি, প্রথম বিয়ের কথা গোপন করেই ২০২৪ সালে তাঁকে বিয়ে করেন পিন্টু। এমনকি গ্রামে আসার পর তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর আরও এক স্ত্রী রয়েছে। গুড়িয়ার ওপরও বাপের বাড়ি থেকে গয়না ও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। অস্বীকার করলেই জুটত বেধড়ক মার।
এই অত্যাচারের মুখে টিকতে না পেরে গুড়িয়াও বাড়ি ছাড়েন। এরপরই দুই সতীনে যোগাযোগ হয় এবং তাঁরা জানতে পারেন পিন্টু ইতিমধ্যেই তৃতীয় বিয়ে সেরে ফেলেছেন। যৌথভাবে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ পিন্টুকে পাকড়াও করে।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর অবশ্য পিন্টুর দাবি অন্য। পণের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সাফাই, “মা অসুস্থ, তাই সেবা করার লোক দরকার ছিল। প্রথম স্ত্রী মা-কে ছুরি নিয়ে মারতে গিয়েছিল, তাই দ্বিতীয় বিয়ে করি। কিন্তু সেও চলে যাওয়ায় তৃতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি।” তবে পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ের এই আজব যুক্তি ধোপে টেকেনি পুলিশের কাছে। দুই স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে কেন তিনি ফের বিয়ে করলেন এবং পণের জন্য কেন অত্যাচার চলল— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।