ঠাকুরবাড়িতে দুই মতুয়া গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম বরুণ বিশ্বাস, যিনি বাগদা এলাকার বাসিন্দা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মতুয়া মহাসঙ্ঘের অভ্যন্তরীণ বিবাদ ও রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে পৌঁছেছে।
মমতাবালার দাবি ও পুলিশের ভূমিকা: রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এই গ্রেফতারিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে।” তাঁর অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর বিজেপির লোক লাগিয়ে সাধারণ মতুয়া ভক্ত ও মহিলাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন এবং শ্লীলতাহানি করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই পুলিশ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে বলে তাঁর দাবি। তিনি বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
পাল্টা অভিযোগ শান্তনু শিবিরের: অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা এই গ্রেফতারিকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছেন। মতুয়া মহাসঙ্ঘের (শান্তনু পন্থী) সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইনের দাবি, বরুণ বিশ্বাস ঘটনার দিন ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিতই ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরাই পরিকল্পিতভাবে এই অশান্তি ঘটিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন।