সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আজ বুধবার লোকসভায় ভয়েস ভোটের মাধ্যমে সেন্ট্রাল এক্সাইজ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পাস হয়েছে। এই বিলটি তামাক এবং তামাক-সম্পর্কিত পণ্যগুলোর উপর উচ্চতর এক্সাইজ ডিউটি আরোপের ব্যবস্থা করবে, যা ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ জিএসটি কম্পেনসেশন সেস শেষ হওয়ার পরই কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের নেতৃত্বে এই বিলটি উত্থাপিত হয় এবং বিরোধীদলের স্লোগানের মধ্যেও এটি অনুমোদিত হয়। এই পদক্ষেপের প্রধান লক্ষ্য হলো—
-
রাজস্ব রক্ষা: সেস বন্ধ হয়ে গেলে তামাকের উপর মোট করের বোঝা যাতে কমে না যায় (জিএসটির সর্বোচ্চ হার ৪০%), তা নিশ্চিত করা।
-
জনস্বাস্থ্য: তামাকের মতো ‘সিন গুডস’-এর ব্যবহার উচ্চ করের মাধ্যমে নিরুৎসাহিত করা।
বিলের মূল পরিবর্তন:
এই সংশোধনী বিলটি সেন্ট্রাল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯৪৪-এর ফোর্থ স্কেডিউলের সেকশন IV-এ পরিবর্তন আনবে। এর ফলে সিগার, চুরুট, সিগারেটের উপর প্রতি ১,০০০ স্টিকে ৫,০০০ টাকা থেকে ১১,০০০ টাকা পর্যন্ত এক্সাইজ ডিউটি আরোপ হবে। চিবানো তামাক, জর্দা, সুগন্ধযুক্ত তামাকের হারও বাড়ানো হবে (যেমন তামাকের বর্জ্যের হার ৫০% থেকে ৬০%-এ উন্নীত)।
অর্থমন্ত্রী লোকসভায় জানান, জিএসটি সেস-এর মাধ্যমে রাজ্যগুলোর ক্ষতি পূরণে নেওয়া ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ কিছুদিনের মধ্যেই পুরোপুরি শোধ হয়ে যাবে। সেস বন্ধ হওয়ার পর এই নতুন এক্সাইজ ডিউটি আরোপ করা না হলে তামাক পণ্যের দাম কমে যেত, যা স্বাস্থ্য ও রাজস্বের পক্ষে ক্ষতিকর হতো।
এছাড়াও, পান মশলার উপর ‘হেলথ সিকিউরিটি অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি সেস’ আরোপের জন্য একটি পৃথক বিলও উত্থাপিত হয়েছে, যা জিএসটি সেস-এর জায়গা নেবে এবং এর আয় জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় নিরাপত্তায় ব্যয় হবে।