ভোটার তালিকায় নাম নেই, উল্টে হাতে ধরানো হয়েছে শুনানির নোটিশ! এবার এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার ‘ফাঁসে’ পড়লেন খোদ বারাসতের হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সাংসদের দুই পুত্র, বৃদ্ধা মা এবং বোনের নাম খসড়া তালিকায় না থাকায় এবং তাঁদের সশরীরে হাজিরা দিতে বলায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এবার সাফাই দিয়ে আসরে নামল কমিশন।
কী অভিযোগ সাংসদের?
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ, তিনি চারবারের সাংসদ এবং তাঁর স্বামী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর দুই পুত্র প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক ও সরকারি চাকুরে। তাসত্ত্বেও একই বুথের ভোটার হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে এবং শুনানিতে ডাকা হয়েছে।
কাকলি দেবী প্রশ্ন তোলেন, “আমি প্রতিষ্ঠিত হয়েও যদি এই হয়, তবে প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের কী অবস্থা সহজেই অনুমেয়। জবরদস্তি নাম বাদ দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে।”
কমিশনের সাফাই:
সাংসদের এই অভিযোগের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি:
লিঙ্কেজ সমস্যা: এনুমারেশন ফর্মে সঠিক ‘লিঙ্কেজ’ বা সংযোগ না থাকার কারণেই পরিবারের সদস্যদের শুনানিতে ডাকা হয়েছে।
বিশেষ ছাড়: বিতর্কের মুখে কমিশন জানিয়েছে, সাংসদের বৃদ্ধা মাকে শুনানির জন্য বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে না। আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে গিয়েই তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন।
বিপাকে সাধারণ মানুষ?
সাংসদ অভিযোগ করেছেন যে, এই এসআইআর প্রক্রিয়া আসলে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলার একটি কৌশল। তাঁর দাবি, যাঁরা অশিক্ষিত বা যোগাযোগহীন, তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে এসআইআর বিতর্ককে আরও উসকে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।