“চিকিৎসা নয়, চলল দর কষাকষি!”-আক্রান্তকে উল্টে FIR-এ আসামি করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ

গুরুতর আহত এক ব্যক্তিকে থানার বাইরে ফেলে রেখে পুলিশকর্মীরা নিজেদের গাড়ি ধোওয়ায় ব্যস্ত— বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার দবোহ থানায় এই অমানবিক ঘটনার জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশকর্তাদের চরম উদাসীনতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফলে ওই আহত ব্যক্তির জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটেছিল মঙ্গলবার দবোহ থানা এলাকার বার্থরা গ্রামে। সম্পত্তি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে শ্যামু পরিহারকে তাঁর আত্মীয় নারায়ণ পরিহার এবং কোমল পরিহার কুড়ুল ও লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। গুরুতর জখম অবস্থায় শ্যামুকে উদ্ধার করে তাঁর ভাই রামু পরিহার।

রামু তাঁর দাদাকে নিয়ে সোজা দবোহ থানায় গিয়েছিলেন এবং অবিলম্বে সাহায্য ও নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।

রামুর অভিযোগ, পুলিশ শ্যামুকে সাহায্য করার পরিবর্তে তাদের গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। শ্যামু পাশে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, তাঁর শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাব-ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রকুমার মাঝি-সহ পুলিশকর্মীরা আহত ব্যক্তির চিকিৎসার চেয়ে গাড়ি ধোওয়া নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিলেন। অভিযোগ, পরিবারের আবেদন করার প্রায় এক ঘণ্টা পরে একটি FIR নথিভুক্ত করা হয়।

FIR-এর বিনিময়ে টাকা, না দেওয়ায় উল্টে মামলা!
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও মারাত্মক একটি অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, FIR করার বিনিময়ে পুলিশ শ্যামুর পরিবারের কাছে টাকা চেয়েছিল।

শ্যামুর পরিবার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, পুলিশ মামলায় উল্টে শ্যামুকেই অভিযুক্ত করেছিল বলে অভিযোগ।

শ্যামুর ভাই রামু পরিহার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমার দাদাকে বাঁচানোর পরিবর্তে, তারা আমাদের সঙ্গে দর কষাকষি করেছে। পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়াতেই দাদাকে প্রাণ হারাতে হতো।” ন্যায়বিচারের জন্য তাঁরা এখন সরাসরি পুলিশ সুপার অসিত যাদবের কাছে আবেদন করেছেন।

পুলিশ ইনস্পেক্টর রাকেশ শর্মা স্বীকার করেছেন, সাব-ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রকুমার মাঝির আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য’। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো পুলিশকর্তা বা কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy