নীল বাতি লাগানো চকচকে গাড়ি, তার সামনে আবার বড় করে লেখা ‘কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক’। রাজকীয় মেজাজে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল যুবক। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিক সেজে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে ডোমজুড় থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সৌভিক পাড়ুই নামে এক যুবক।
সন্দেহ থেকেই পর্দাফাঁস:
শনিবার রাতে ডোমজুড় হাসপাতাল এলাকায় নীল বাতি লাগানো গাড়িটি নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল সৌভিক। তাঁর গতিবিধি এবং কথাবার্তায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা গাড়িটি আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। দেখা যায়, যে পরিচয় নিয়ে সৌভিক দাপট দেখাচ্ছে, তা আদতে ভুয়ো। এরপরই উত্তেজিত জনতা তাঁকে আটকে রেখে ডোমজুড় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এডিটিং অ্যাপেই ছিল জালিয়াতির ‘ম্যাজিক’:
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, সৌভিক নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাবশালী আধিকারিক প্রমাণ করতে এডিটিং অ্যাপের সাহায্য নিত। বড় বড় অফিসারদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করত সে। এই ভুয়ো ছবি দেখিয়েই এলাকার শিক্ষিত যুবকদের চাকরির টোপ দিত সে। রেল থেকে শুরু করে আয়কর দফতর— সর্বত্র চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই যুবক।
পুলিশের পদক্ষেপ:
ডোমজুড় থানার পুলিশ সৌভিককে আটক করার পাশাপাশি তাঁর নীল বাতি লাগানো গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। তাঁর সঙ্গে এই বড় মাপের জালিয়াতি চক্রে আর কে কে যুক্ত আছে, তা জানতে শুরু হয়েছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
রাজ্যজুড়ে ভুয়ো আধিকারিকদের দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।