খগেন মুর্মুর উপর হামলার প্রতিবাদে বাঁকুড়ায় বিজেপির জেলাশাসক দপ্তর অভিযান, রণক্ষেত্র পরিস্থিতি, ভাঙার চেষ্টা পুলিশের ব্যারিকেড

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মকর্তাদের উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে জেলাশাসকের দপ্তর অভিযান ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এবং পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়।

কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক লালবাজার মোড় থেকে মিছিল করে জেলা শাসকের দপ্তরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার, বিধায়ক নিলাদ্রী দানা, এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি।

মিছিলটি জেলা শাসকের দপ্তরের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গতিরোধ করে। এসময় বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত, এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

বিজেপি নেতৃত্বের ক্ষোভ
জেলা বিজেপির সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সারা রাজ্যে এক অরাজক অবস্থা। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে একজন সম্মানীয় সাংসদ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে, তার মুখমণ্ডলের তিনটি হাড় ভেঙ্গে গেছে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একজন সাংসদের যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”

প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি আরও অভিযোগ করেন:

আদিবাসী বঞ্চনা: একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতাকে মেরে ফেলার চেষ্টায় সমগ্র আদিবাসী সমাজ ক্ষুব্ধ। রাজ্যে আদিবাসীদের জমি ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

সম্পদ লুঠ: পাথর-বালির মতো প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ হচ্ছে।

মহিলা নির্যাতন: মহিলা নির্যাতন চরম পর্যায়ে।

তিনি দাবি করেন, শাসক দলের মদতপুষ্ট গুন্ডারা এই সব কর্মকাণ্ডে জড়িত তা প্রমাণিত। অবিলম্বে এই অরাজকতা বন্ধ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy