২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার রাজনীতিতে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সোমবার মুর্শিদাবাদের মির্জাপুর থেকে তিনি তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’-র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ইতিপূর্বেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে, তবে বহিষ্কার করেনি। এর মাঝেই হুমায়ুন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি কেবল বিধায়ক হিসেবে নয়, বরং আগামীর ‘কিংমেকার’ হতে ময়দানে নামছেন।
হুমায়ুনের নতুন দলের লক্ষ্যমাত্রা আকাশছোঁয়া। তিনি জানিয়েছেন, ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে তাঁর দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং অন্তত ৯০টি আসনে জয়লাভই তাঁদের মূল টার্গেট। বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের অনুকরণে মসজিদ নির্মাণের শিলান্যাস করে তিনি ইতিমধ্যেই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির হাওয়া গরম করেছেন। তাঁর দাবি, “তৃণমূল বা বিজেপি—কেউ ক্ষমতায় এলে বাবরি মসজিদ গড়তে দেবে না। একমাত্র আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষমতার অংশীদার হলেই তা সম্ভব।”
রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে হুমায়ুন কবীর বাম, কংগ্রেস এবং নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ-কে জোটের ফর্মুলা দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্যে তিনি নিজে ৯টি আসনে লড়তে চান এবং বাকি আসনগুলো অধীর চৌধুরীর কংগ্রেস (৯টি), সিপিএম (৩টি) ও আইএসএফ-এর (১টি) জন্য ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর মতে, এই মহাজোট হলে তৃণমূলকে ‘শূন্য’ করা সম্ভব হবে। ওদিকে মিম (AIMIM)-ও মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলোতে নিজেদের জমি শক্ত করছে, যা ২০২৬-এর নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে বড় ভাঙনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।