দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনে এক সপ্তাহব্যাপী রক্ষণাবেক্ষণ ও বিভাগীয় কাজের কারণে আবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল ও সংক্ষিপ্ত করার ঘোষণা করা হলো। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আজ ১৩ অক্টোবর (সোমবার) থেকে আগামী ১৯ অক্টোবর (রবিবার) পর্যন্ত এই ‘রোলিং ব্লক’ কার্যকর থাকবে।
রেলের সিনিয়র ডিসিএম বিকাশ কুমার জানান, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত কারণে মোট ৪টি ট্রেন সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে এবং বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ আংশিকভাবে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কালীপুজোর ঠিক আগে এই সিদ্ধান্তে প্রতিদিন যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্পূর্ণ বাতিল ট্রেনের তালিকা:
যাত্রীদের সুবিধার্থে বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির তারিখ ও রুট এখানে তুলে ধরা হলো:
ট্রেনের নাম ও নম্বর বাতিলের দিন
৬৮০৭৭/৬৮০৭৮ আদ্রা-ভাগা-আদ্রা মেমু প্যাসেঞ্জার ১৩ অক্টোবর, ১৪ অক্টোবর এবং ১৯ অক্টোবর
৬৮০৭৯/৬৮০৮০ ভোজুডি-চন্দ্রপুরা-ভোজুডি মেমু প্যাসেঞ্জার ১৪ অক্টোবর, ১৭ অক্টোবর এবং ১৮ অক্টোবর
৬৮০৯০/৬৮০৮৯ আদ্রা-মেদনীপুর-আদ্রা মেমু প্যাসেঞ্জার ১৭ অক্টোবর
৬৮০৪৬/৬৮০৪৫ আসানসোল-আদ্রা-আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার ১৯ অক্টোবর
Export to Sheets
যে সমস্ত ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে:
৬৮০৫৬/৬৮০৬০ টাটানগর-আসানসোল-বরাভূম মেমু প্যাসেঞ্জার: আগামী ১৪ অক্টোবর এই ট্রেনের যাত্রা আদ্রা রেল স্টেশনে সমাপ্ত ও সূচনা হবে। অর্থাৎ আদ্রা-আসানসোল-আদ্রা সেকশনে পরিষেবা বাতিল থাকবে।
১২৮৮৫/১২৮৮৬ শালিমার-ভজুডি-শালিমার মেমু এক্সপ্রেস: আগামী ১৩ ও ১৪ অক্টোবর এই ট্রেনের যাত্রা আদ্রা রেল স্টেশনে সমাপ্ত ও সূচনা হবে। আদ্রা-ভজুডি-আদ্রা সেকশনে পরিষেবা বাতিল থাকবে।
১৮০১৯/১৮০২০ ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম মেমু এক্সপ্রেস: আগামী ১৪ ও ১৭ অক্টোবর এই ট্রেনের যাত্রা বোকারো রেল স্টেশনে সমাপ্ত ও সূচনা হবে। বোকারো-ধানবাদ-বোকারো সেকশনে পরিষেবা বাতিল থাকবে।
১৩৫০৩/১৩৫০৪ বর্ধমান-হাঁটিয়া-বর্ধমান মেমু এক্সপ্রেস: এই ট্রেনের যাত্রাপথ গোমো রেল স্টেশনে সমাপ্ত ও সূচনা হবে (তবে তারিখ ৩ ও ৫ অক্টোবর, যা ইতোমধ্যে চলে গেছে)।
বিলম্বে যাত্রা ও পথ পরিবর্তন:
বিলম্বে যাত্রা: আগামী ১৯ অক্টোবর বক্সার-টাটানগর এক্সপ্রেস বক্সার থেকে ৯০ মিনিট বিলম্বে ছাড়বে।
পথ পরিবর্তন: আগামী ১৫ অক্টোবর টাটানগর–হাটিয়া এক্সপ্রেস চাণ্ডিল–পুরুলিয়া-কোটশিলা-মুরি রুটের পরিবর্তে চাণ্ডিল-গুণ্ডা বিহার–মুরি রুটে চলবে।
রেলের এই সিদ্ধান্তে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নিত্যযাত্রীদের এই সময় বিকল্প পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।