উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের ফলে বিপর্যয়ের ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। ধরালী এবং এর আশেপাশের এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ২৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও প্রায় ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধারকাজ সহজ করতে এবার মাঠে নেমেছে ইসরো। তাদের স্যাটেলাইট ছবিতে এই ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা স্পষ্ট হয়েছে।
স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল ধ্বংসের চিত্র
ইসরোর কার্টোস্যাট স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া হাই-রেজোলিউশনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধরালী গ্রামের যেখানে ক্ষীরগঙ্গা নদী ভাগীরথী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, সেখানে প্রায় ২০ হেক্টর জুড়ে কাদা এবং পাথরের স্তূপ জমা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির পর ক্ষীরগঙ্গা নদী বেয়ে প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন ঘনমিটার কাদামাটি এবং পাথর নেমে এসেছিল।
ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (NRSC) ১৩ই জুন, ২০২৪-এর আগের ছবিগুলোর সঙ্গে ৭ই আগস্টের তোলা ছবিগুলোর তুলনা করে এই চিত্রটি বিশ্লেষণ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার কারণে নদীপথ পরিবর্তিত হয়েছে, এবং অনেক রাস্তাঘাট, সেতু ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। বন্যার কবলে পড়া কিছু বাড়িঘর সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেছে, যা সম্ভবত কাদা ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে।
ইসরোর এই ম্যাপিং তথ্য উদ্ধারকারী দলকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে, জলমগ্ন এলাকা চিহ্নিত করতে এবং বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে সাহায্য করছে। ইসরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উপগ্রহ চিত্রগুলো চলমান অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে।”
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে নিখোঁজদের খুঁজে বের করার এবং যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের কাজ পুরোদমে চলছে।