মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাদ বা চরণামৃত মুখে নেওয়ার পর সেটাই মায়ের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন, যা সনাতন ধর্মে অনাচার হিসেবে গণ্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর দ্রুত ভাইরাল হয়। বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত ভিডিওটিতে ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার দর্শক এবং প্রায় ৫ হাজার শেয়ার হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ
ভিডিওটি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন:
“মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি এটা কি করছেন? কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে পুরোহিত আপনাকে মা দক্ষিণা কালীর চরণামৃত বা প্রসাদ কিছু একটা দিয়েছেন, যা আপনি মাথায় ছোঁয়ালেন, মুখেও গ্রহণ করলেন, দিয়ে সেটাই আবার মা’এর দিকে ছুঁড়ে দিলেন?”
তিনি আরও বলেন, “প্রসাদ হোক বা চরণামৃত বা অন্যকিছু যেটা আপনি গ্রহণ করে মুখে নিলে তা এঁটো হয়ে যায়, আর সেই এঁটো মা’এর দিকে ছোঁড়া যায় না, এটা অনাচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু রীতি-নীতি’র বিষয়ে অজ্ঞতা আবারো প্রকাশ্যে এলো।”
নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে ইচ্ছাকৃত বলে দাবি করেছেন:
‘ইচ্ছাকৃত অপমান’: মলয় কুমার মল্লিক লিখেছেন, “ওটা অজ্ঞতা নয় দাদা, উনি ইচ্ছা করেই এগুলো করছেন। আমাদের সনাতন ধর্মকে অপমান করা ওনার প্রধান উদ্দেশ্য।”
‘ইসলামী রীতি’: কৃষ্ণ নীল কাজল এই আচরণের সঙ্গে ইসলামী রীতির তুলনা করেছেন।
মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: মিঠুন রায় মন্তব্য করেছেন, “ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে এরকম মহিলাকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়!”
অন্যান্য প্রসঙ্গ: অনেকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “এই জন্যই পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে একে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”
ভিডিওটির সত্যতা এবং মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল— তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।