বছর শেষে তিলোত্তমার মুকুটে যোগ হচ্ছে নতুন পালক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘দুর্গাঙ্গন’-এর পথচলা শুরু হচ্ছে কাল থেকেই। পূর্ব ঘোষণা মতো, আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) নিউটাউনে এই মেগা প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিতপুজো করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার জগন্নাথধামের সাফল্যের পর এবার খোদ কলকাতায় গড়ে উঠছে মা দুর্গার স্থায়ী এক পীঠস্থান।
এক নজরে ‘দুর্গাঙ্গন’ প্রজেক্ট:
খরচ ও বাস্তবায়ন: প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিডকো (HIDCO)-কে। এর জন্য আনুমানিক ২৬১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অবস্থান: নিউটাউনের ইকো পার্কের অদূরে, রামকৃষ্ণ মিশনের জমির ঠিক পাশেই এই সুবিশাল কমপ্লেক্সটি তৈরি হচ্ছে।
সময়সীমা: হিডকোর দরপত্র অনুযায়ী, কাজ শুরু হওয়ার দিন থেকে আগামী ২৪ মাস বা ২ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ, সব ঠিক থাকলে ২০২৭-এর শেষের দিকেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাবে দুর্গাঙ্গন।
কী কী থাকবে: এটি কেবল একটি মন্দির নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক ও পর্যটন কেন্দ্র। দেবী দুর্গার মূর্তির পাশাপাশি এখানে শিব এবং দুর্গার চার সন্তানদেরও মন্দির থাকবে। সারাবছরই এখানে এসে বাংলার দুর্গাপূজার আবহ ও ঐতিহ্য অনুভব করতে পারবেন পর্যটকরা।
কেন এই উদ্যোগ?
২০২১ সালে বাংলার দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কো ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তকমা দেওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী একটি স্থায়ী দুর্গা মন্দিরের কথা ভেবেছিলেন। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি প্রথম এই ঘোষণা করেন। এর আগে দিঘার জগন্নাথ মন্দির এবং শিলিগুড়ির মহাকাল মন্দিরের মতোই এই প্রকল্পটিও বাংলার ধর্মীয় পর্যটনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউনেস্কোর গরিমা এখন সারাবছর:
বাঙালি মানেই দুর্গাপূজা কেবল পাঁচ দিনের উৎসব। কিন্তু দুর্গাঙ্গন তৈরি হয়ে গেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বছরের যেকোনো সময় এখানে এসে পুজোর জাঁকজমক ও শিল্পকলা চাক্ষুষ করতে পারবেন। রেপ্লিকা এবং নকশা অনুযায়ী, এই অঙ্গনের স্থাপত্যশৈলী হবে অত্যন্ত আধুনিক ও কারুকার্যমণ্ডিত।