ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করল দেশীয় প্রযুক্তি। ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন গোলাবারুদের (Indian Army ammunition) ক্ষেত্রে ৯১ শতাংশ আত্মনির্ভর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত মোট ১৭৫ ধরনের গোলাবারুদের মধ্যে ১৫৯টি ভ্যারিয়েন্ট এখন সম্পূর্ণভাবে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। এই তথ্য সামনে আসতেই সামরিক শক্তিতে ভারতের নয়া উত্থান নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
অতীতের দিকে তাকালে এই সাফল্যের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়। ২০১৩ সালে ইউপিএ জমানায় সিএজি (CAG) রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, ভারতের কাছে মাত্র ১০ দিনের তীব্র যুদ্ধের গোলাবারুদ মজুত রয়েছে। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে ৪০ দিনের যুদ্ধ প্রস্তুতি থাকা বাধ্যতামূলক। সেই শোচনীয় অবস্থা কাটিয়ে আজ ভারত যে কোনো উচ্চ-তীব্রতার দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ সামলাতে সক্ষম। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের হাত ধরে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সংস্কার এবং বেসরকারি শিল্পের অংশগ্রহণে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অগ্রগতির ফলে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমার পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপ থেকেও মুক্ত হয়েছে ভারত। ট্যাঙ্ক শেল থেকে শুরু করে আর্টিলারি অ্যামুনিশন— প্রায় সবক্ষেত্রেই ভারত এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলিতে গোলাবারুদ রপ্তানিও শুরু করেছে দিল্লি। যদিও বাকি ৯ শতাংশ গোলাবারুদ দেশীয়ভাবে তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে, তবুও ৯১ শতাংশের এই পরিসংখ্যান বিশ্বমঞ্চে ভারতের সামরিক প্রভাব কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।