সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে ‘ম্যাচের সেরা’ হওয়ার পর আইসিসি টি-২০ ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে রেকর্ড ৯৩১ রেটিং পয়েন্টে পৌঁছে গেছেন তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা। ২০২০ সালে ডেভিড মালানের করা ৯১৯ রেটিং পয়েন্টের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। স্বল্প সময়ে এই অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং যতটা দায়ী, তার চেয়েও বেশি দায়ী ভারতীয় দলের টি-২০ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের (SKY) অভয়বাণী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক শর্মা নিজেই এই দ্রুত সাফল্যের রহস্য ফাঁস করেছেন।
অধিনায়কের ভরসা: “১৫ বার শূন্য করলেও খেলবে”
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতে অভিষেক শর্মা যখন ফ্লপ হচ্ছিলেন, তখন সূর্যকুমার যাদবের আত্মবিশ্বাস তাঁকে ছন্দে ফিরতে সাহায্য করে। অভিষেক জানান:
“ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে তিন-চার ইনিংসে আমি দ্রুত আউট হয়ে যাই। তারপর সূর্যকুমার আমাকে বলে, ‘তুমি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। যদি তুমি টানা ১৫ বার শূন্যতে আউট হয়েও যাও, পরের ম্যাচে খেলবে। আমি সেটা তোমাকে লিখে দিতে পারি।’ অধিনায়কের থেকে এটা শোনা বড় বিষয়।”
অভিষেক শর্মা বলেন, এই বার্তার পরেই তাঁর কাছে একটি জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায়— যদি তিনি ভালো কিছু করতে চান, নাম করতে চান, তাহলে তাঁকে আলাদা কিছু করতে হবে।
নিজের সহজাত প্রবৃত্তিতে ফেরা
সূর্যকুমার যাদবের এই ভরসাই অভিষেক শর্মার জীবন বদলে দেয়। তিনি বুঝে যান যে, অন্যদের নজরে আসতে হলে তাঁকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে।
“আমি নিজের সহজাত প্রবৃত্তি চেপে রেখেছিলাম। আমি বরাবরই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে ভালবাসি। আমার মনে হল, লম্বা ইনিংস খেলতে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলা চেপে রাখছি। আমি মাথা থেকে সেটা বের করে দিই।”
এরপর থেকেই অভিষেক তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন, যার ফলস্বরূপ এশিয়া কাপে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়লেন।
শুভমন গিলের দুষ্টুমি ফাঁস
সাক্ষাৎকারে অভিষেক ছোটবেলার বন্ধু ও সতীর্থ শুভমন গিলের কথা তুলে ধরেন। অনূর্ধ্ব-১৬ থেকেই তাঁরা একসঙ্গে খেলেন। অভিষেক দাবি করেন, শুভমন দুষ্টুমি করেও ধরা পড়ে না এবং সব সময় ‘নির্দোষ মুখ’ করে থাকে। দুজনের ছোটবেলার কোচ, পাঞ্জাবের ক্রিকেটার অরুণ বেদি, একজনকে ‘শান্ত’ (শুভমন) এবং অন্যজনকে ‘শয়তান’ (অভিষেক) উপাধি দিয়েছিলেন।