‘আগে দেশে আসুন, তারপর শুনানি!’-বিজয় মালিয়াকে কড়া বার্তা বম্বে হাইকোর্টের

ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেন্ডস (FEO) আইনে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা মামলা করেছিলেন পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়া। সেই মামলায় আদালতের কাছে ‘রিলিফ’ চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, বিজয় মালিয়া দেশে ফিরে আদালতে হাজিরা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর সেই আবেদনের শুনানি হবে না।

বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রীচন্দ্রশেখর এবং বিচারপতি গৌতম অঙ্কুরদিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ মালিয়ার আইনজীবী অমিত দেশাইকে বলেন, “অবশ্যই আপনার মক্কেলের মামলা শুনব। কিন্তু তাঁকে আগে আদালতে হাজিরা দিতে বলুন।” এই কড়া বার্তার পরে মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মালিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ

২০১৬ সালের মার্চে দেশ ছেড়ে পালান শিল্পপতি বিজয় মালিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনে ঘাঁটি গেড়েছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই নিয়ে মামলা চলছে ইংল্যান্ডের আদালতে।

অভিযোগ, মালিয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দেন, যাতে তাঁকে ভারতীয় আইনের মুখোমুখি হতে না হয়। এর পরেই কিংফিশারের মালিকের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) FEO আইনে মামলা দায়ের করে। সেই আইনের অধীনে চলা প্রক্রিয়া থেকে সুরক্ষা (রিলিফ) চেয়েই বম্বে হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করেন মালিয়া।

ইডি-র পাল্টা প্রশ্ন

ইডি-র তদন্তকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি নিজে ভারতে ফিরছেন না, তিনি কী ভাবে এই দেশের আইনের কাছে সুরক্ষা চাইতে পারেন? ঋণ পুনরুদ্ধারে কিংফিশারকে ৬,২০৩ কোটি টাকার বকেয়া ও ১১.৫০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মালিয়ার পাসপোর্ট বাতিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হলেও তিনি দেশে ফেরেননি।

তদন্তকারীরা মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। আদালতে মালিয়ার পিটিশন খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে বিশেষ আদালতের কাছে FEO আইনের অধীনে তাঁকে ‘ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার’ (পলাতক আর্থিক অপরাধী) ঘোষণার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখারও আবেদন করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy