বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা শেষে প্রতিমা ভাসানের ঢল নেমেছে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। প্রতিবছরই এই সময় নদীর দূষণ এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এই সমস্যা কমাতে এবার হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে অভিনব কায়দায় প্রতিমা ভাসান প্রক্রিয়া শুরু করল হাওড়া পৌরসভা। অল্প সময়ে, কম ঝুঁকিতে এবং নদী দূষণ কমাতে এই ভাসানে মেশিনারি ব্যবহার করা হলো।
লোহার পাত ও মেশিনারি ব্যবহার
হাওড়া শহরের বুকে বারোয়ারি এবং বাড়িতে পূজিত কয়েক হাজার প্রতিমা ভাসানের প্রধান কেন্দ্র হলো রামকৃষ্ণপুর ঘাট। এবার ভাসান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও পরিবেশবান্ধব করতে হাওড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে:
নিরাপদ ভাসান: লোহার পাতের উপর ভর করে প্রতিমা ভাসানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, যা অল্প সময়ে এবং কম ঝুঁকিতে কাজ সারতে সাহায্য করছে।
দ্রুত উত্তোলন: নিয়ম মেনে প্রতিমা ভাসানের পর মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত নদীর জল থেকে প্রতিমা কাঠামো ডাঙায় তোলা সম্ভব হচ্ছে।
দূষণ ও ঝুঁকি হ্রাস
হাওড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বিজয়া দশমীর কয়েকদিন আগেই এই মেশিনারি ইনস্টলেশনের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। সেই মতো দশমীর দিন রামকৃষ্ণপুর ঘাটে এই নতুন পদ্ধতিতে প্রতিমা ভাসান প্রক্রিয়া হতে দেখা যায়।
বিধায়ক গৌতম চৌধুরী জানান, হাওড়া শহরে বনেদি বাড়ি এবং বারোয়ারি মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার প্রতিমা হাওড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাটে ভাসান হয়। এবার মেশিনারি ব্যবহার করার ফলে:
ভাসান প্রক্রিয়া খুব সহজ হচ্ছে।
নদীর দূষণ কমানো সম্ভব হবে।
দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে।
পৌরসভার এই অভিনব উদ্যোগ পরিবেশ সচেতনতা এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।