আগামী মাসেই রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে (CEO) বড় ধরনের প্রশাসনিক রদবদল করেছে। কমিশনের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের দুই আইএএস অফিসারকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
দুই নতুন আইএএস অফিসারের নিয়োগ
কমিশনের নির্দেশে রাজ্যের দুই অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে:
অরুণ প্রসাদ (২০১১ ব্যাচ): তিনি রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্য়াডিশনাল সিইও) পদে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি নদিয়ার জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।
হরিশঙ্কর পানিকর (২০১৩ ব্যাচ): তিনি রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্য অর্থ দফতরে বিশেষ সচিব পদে ছিলেন।
কমিশন সূত্রে খবর, বর্তমানে তিন জন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কাজ করছিলেন, এবার তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলেন আরও এক জন। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের মধ্যে একজনের দ্রুত বদলি হওয়ার কথা থাকায় নতুন অফিসারকে আনা হয়েছে। এছাড়া, উপ-মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের জন্যও একটি নতুন প্যানেল তৈরি করতে বলা হয়েছে।
রদবদলের নেপথ্যে কমিশনের স্পষ্ট বার্তা
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রদবদলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বার্তা দিল যে, ভোটার তালিকা সংশোধন বা সমীক্ষা প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
ভোটার তালিকা নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভুয়ো ভোটার, মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকা বা বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়ার মতো ঘটনা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ফলে, এই বছর বিশেষ সমীক্ষা প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কমিশন যে প্রশাসনিকস্তরে কড়াকড়ি করছে, তা স্পষ্ট।
আগামী মাস থেকেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে তালিকা পর্যালোচনা, সংশোধন ও নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার কাজ হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ধাপেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হবে। নতুন অফিসারদের নিয়োগ সেই দায়িত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।