অমিতাভকে প্রণাম করে খলিস্তানি হুমকির মুখে দিলজিৎ! ‘KBC’ থেকে ফিরে পাঞ্জাবি তারকার বিস্ফোরক জবাব

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় বৈশ্বিক পাঞ্জাবি তারকা দিলজিৎ দোসাঞ্জ সম্প্রতি কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৭-এ এসে সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জীবনের বহু দিক নিয়ে মন খুলে কথা বলেছেন। তাঁর শৈশবের সংগ্রাম, বাবার উপদেশ এবং পাঞ্জাব বন্যার সময় তাঁর কাজ—সবটাই দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়।

তবে, এপিসোডটি সম্প্রচারের কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অমিতাভ বচ্চনের পা ছুঁয়ে প্রণাম করার পরই দিলজিৎকে খলিস্তানি হুমকি দেওয়া হয়।

নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পাঞ্জাবি ভাষায় পোস্ট করে দিলজিৎ এই হুমকির জবাব দেন। তিনি লেখেন, “না ম্যায় কিসে ফিল্ম দি প্রোমোশন লাই গেয়া স, না কিসে গানে দি প্রোমোশন লাই। পাঞ্জাব ফ্লডস লাই গেয়া স… কে ন্যাশনাল লেভেল তে গল হোবে… তে লোকি ডোনেট কর সাকান।” (আমি কোনো ফিল্ম বা গানের প্রচারে যাইনি। পাঞ্জাবের বন্যার জন্য গিয়েছিলাম… যাতে বিষয়টি জাতীয় স্তরে আলোচিত হয় এবং মানুষ বন্যা ত্রাণের জন্য দান করতে পারে।)

এর আগে, খলিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী শিখস ফর জাস্টিস (SFJ) দিলজিতের অস্ট্রেলিয়া কনসার্টে বাধা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তাদের প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুন অভিযোগ করেন, অমিতাভ বচ্চনের পা ছুঁয়ে দিলজিৎ ‘১৯৮৪ শিখ গণহত্যা’-এর শিকার হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির অপমান করেছেন, কারণ বচ্চনের বিরুদ্ধে ভিড়কে প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে—যদিও অভিনেতা বারবার সেই দাবি অস্বীকার করেছেন।

‘পাঞ্জাব ক্ষতবিক্ষত, তবে উঠে দাঁড়াবে’

‘KBC’-তে পাঞ্জাব বন্যা নিয়ে দিলজিৎ বলেন, “স্যার, এবার যা হয়েছে, তা প্রথমবার নয়। এটি বারবার ঘটে। আমি আপনার এবং চ্যানেলের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা এই বিষয়টি তুলে ধরছেন, কারণ সাধারণত এমন প্ল্যাটফর্মে এসব নিয়ে আলোচনা হয় না। পাঞ্জাবের মানুষ প্রায়শই নিজেরাই এগিয়ে এসে একে অপরের পাশে দাঁড়ান।” তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “পাঞ্জাব এখন ক্ষতবিক্ষত, কিন্তু এটি নিজের পায়ে ভর করে উঠে দাঁড়াবে।”

শৈশবের কথা বলতে গিয়ে দিলজিৎ জানান, ১০-১১ বছর বয়সে তাঁর বাবা-মা তাঁকে কিছু না জানিয়েই মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যা তাঁর কাছে অত্যন্ত খারাপ লেগেছিল। তিনি মজা করে বলেন, ছোটবেলায় তিনি অমিতাভ এবং ধর্মেন্দ্রর অ্যাকশন সিনেমা দেখতে ভালোবাসতেন, কিন্তু রাজেশ খান্নার দুঃখের সিনেমা দেখতে ভালো লাগতো না।

বাবার প্রসঙ্গে দিলজিৎ বলেন, “আমার বাবা সড়কপথে টিকিট পরীক্ষক ছিলেন। তিনি সাধু প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁর বেশি কিছু চাহিদা ছিল না—শুধু একটি সাইকেল আর আম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘বেটা, তোমায় খাবার জন্য রুটি মিলবে, থাকার জন্য ঘর মিলবে, বাকি যা জীবনে করতে চাস, তা নিজে থেকে করতে পারিস।’ আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি।”

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy