বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগে এক প্রাক্তন সেনাকর্মী তাঁর জীবিত স্ত্রীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন। এই ঘটনায় বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকার উত্তর মামুদপুর গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উত্তর মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী নরেন নায়েক প্রায় তিন বছর আগে ধলতিলা এলাকার সুমিতা সরকারের প্রেমে পড়েন। পরিবার ও সমাজের বাধা সত্ত্বেও তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু কিছু সময় পরেই তাঁদের সম্পর্কে অশান্তি শুরু হয়। নরেন নায়েকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পুরুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং সেই সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হতে থাকে। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন সুমিতা নিখোঁজ হয়ে যান। নরেন অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সংসার পেতেছেন।
স্ত্রীর এই বিশ্বাসঘাতকতা নরেন নায়েক মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি সম্পর্কের ইতি টানতে এক অদ্ভুত পন্থা বেছে নেন। তিনি পুরোহিত ডেকে সমস্ত ধর্মীয় নিয়ম মেনে স্ত্রীর শ্রাদ্ধের আয়োজন করেন। তিনি স্ত্রীর ছবিতে মালা দেন, ছবিটি পুড়িয়ে দেন, এবং মাথা ন্যাড়া করে যজ্ঞ ও পিণ্ডদান সম্পন্ন করেন। এ বিষয়ে নরেন বলেন, “আমার কাছে স্ত্রী মৃত। যিনি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছেন এবং আমায় ছেড়ে অন্য কোথাও ঘর বেঁধেছেন, তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না। তাই ধর্মমতে তাকে বিদায় জানালাম।”
এই ঘটনাটি এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে নরেনের এই পদক্ষেপকে ভালোবাসায় আঘাত পাওয়ার প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন, আবার অনেকে বলছেন জীবিত মানুষের শ্রাদ্ধ করা ধর্মীয় দিক থেকে সম্ভব নয়। এই ঘটনাটি বর্তমানে এলাকার মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।