ষাট দশকের সেই উত্তাল সময়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে। সেই সময় এক তরুণ সাংসদ নির্ভীকভাবে নেহরুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দাবি করেন, “আপনাকে সংসদ ডাকতে হবে, দেশবাসীকে জবাব দিতে হবে।” সেই তরুণের তেজ দেখে বিশেষ অধিবেশন ডাকেন নেহরু। সংসদে দাঁড়িয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় নেহরু সরকারকে আক্রমণ করেন সেই যুবক। তাঁর সেই অসামান্য বাগ্মিতা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন খোদ নেহরু। বক্তৃতা শেষে তিনি বলেছিলেন, “তোমার দল কোনোদিন ক্ষমতায় আসবে কি না জানি না, কিন্তু তোমার মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব যোগ্যতা রয়েছে।” সেই তরুণ আর কেউ নন, স্বয়ং অটলবিহারী বাজপেয়ি।
শমীক ভট্টাচার্যের ভাষণ: ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অটলজি তাঁর বাগ্মিতার মাধ্যমেই একটি দলকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিলেন। তিনি আজও আমাদের দলের প্রতিটি কর্মীর হৃদয়ে জড়িয়ে রয়েছেন।” নেহরুর সেই প্রশংসাকে উদ্ধৃত করে তিনি বাজপেয়ির ব্যক্তিত্বের বিশালতাকে তুলে ধরেন।
২০২৬-এর হুঙ্কার: বাজপেয়ির জন্মশতবর্ষের আবহে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বড় ঘোষণা করেন শমীক। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই পবিত্র মাটিতে অটলবিহারী বাজপেয়ির আদর্শের সরকারই প্রতিষ্ঠিত হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে, তাদের আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না।”
উপসংহার: অটলবিহারী বাজপেয়ি ছিলেন সেই বিরল জননেতা, যাঁর প্রশংসা করেছেন তাঁর চরম রাজনৈতিক বিরোধীরাও। তাঁর ১০১তম জন্মদিনে নেহরুর সেই কালজয়ী উক্তি আবারও প্রমাণ করল যে, দলাদলির উর্ধ্বে থেকে বাজপেয়ি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই এক ‘জাতীয় নায়ক’।