দীর্ঘ ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে রুপোলি পর্দায় ফিরছেন ‘জানে তু ইয়া জানে না’ খ্যাত নায়ক ইমরান খান। আমির খানের প্রযোজনায় ‘হ্যাপি প্যাটেল: খতরনাক জাসুস’ ছবির হাত ধরে কামব্যাক করছেন তিনি। কিন্তু এই প্রত্যাবর্তনের মাঝেই বলিউডের কাস্টিং ডিরেক্টর ও পরিচালকদের নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন অভিনেতা।
কাস্টিং নিয়ে বিস্ফোরক সত্য: সম্প্রতি একটি পডকাস্টে ইমরান জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের সুপারহিট ছবি ‘মাট্রু কি বিজলি কা মণ্ডোলা’-তে তিনি মোটেও পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন না। ইমরান বলেন, “ওই ছবিতে হরিয়ানভি যুবকের চরিত্রে আমি ফিট ছিলাম না। আসলে ওই চরিত্রে প্রথমে অজয় দেবগণকে কাস্টিং করার কথা ছিল। কিন্তু অজয় সরে দাঁড়ানোর পর আমাকে নেওয়া হয় শুধুমাত্র বাজেটের অংকের খাতিরে।”
অভিনেতার দাবি, বলিউডে কাস্টিং করা হয় অভিনেতার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং ছবির বাজেটের কথা মাথায় রেখে। তাঁর কথায়, “পরিচালকরা ভাবেন কোন অভিনেতাকে নিলে বাজেট কমবে এবং কত টাকা লাভ হবে। এটা অনেকটা অংকের মতো।”
বিবাহ বিচ্ছেদ ও অবসাদের সেই কালো দিনগুলো: কেরিয়ারের শুরুতে আকাশছোঁয়া সাফল্য পেলেও ২০১৯ সালে ব্যক্তিগত জীবন তছনছ হয়ে যায় ইমরানের। অবন্তিকা মালিকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর গভীর অবসাদে ডুবে যান তিনি। সেই সময়ের কথা মনে করে অভিনেতা বলেন:
শারীরিক অক্ষমতা: “সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজা বা স্নান করাটাও পাহাড় ডিঙানোর মতো কঠিন মনে হতো।”
একাকীত্ব: “বাইরের মানুষের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ডোরবেল অফ করে রাখতাম যাতে কেউ ডাকতে না পারে।”
লক্ষ্যহীন জীবন: “সারা দিন শোয়ার পোশাকেই বিছানায় পড়ে থাকতাম। বেঁচে থাকার কোনও উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না।”
ফিরে আসার পালা: ২০১৬ সালের পর থেকে কার্যত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন তিনি আবার সুস্থ। ‘হ্যাপি প্যাটেল’ সিনেমার মাধ্যমে ২০২৬-এর ১৬ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে তাঁকে। তাঁর এই ‘সেকেন্ড ইনিংস’ নিয়ে অনুরাগী মহলে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে।