উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। চোর সন্দেহে সেখানে এক সেনা জওয়ান ও তাঁর চাচাতো ভাইকে গ্রামবাসীরা নির্মমভাবে মারধর করেছেন। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় দু’জনেই গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মণিপুরে কর্মরত সেনা জওয়ান মোহন ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সেদিন তিনি তাঁর চাচাতো ভাই রোশনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সাহারানপুরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। বলওয়া খেদি গ্রামের কাছে তাঁদের মোটরসাইকেলে পেট্রল ফুরিয়ে যায়। সাহায্য চাইতে মোহন ওই এলাকার একটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। সেই সময়ে এলাকায় চোরদের আনাগোনার গুজব থাকায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলস্বরূপ, গ্রামবাসীদের একটি দল মোহন ও রোশনকে চোর সন্দেহে ঘিরে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় একজন মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন এবং অন্যজন রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসীদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
সদর সার্কেল অফিসার দেবব্রত বাজপেয়ী বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি গ্রামবাসীরা দু’জনকেই বেধড়ক মারধর করছেন। আমরা অনেক কষ্টে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্তে দেখা গেছে, গ্রামবাসীরা চোর ভেবে তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে এবং গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মুজাফফরনগর পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে সকলকে সতর্ক করেছে যে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। পুলিশ অনুরোধ করেছে, কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অথবা জরুরি পরিষেবা নম্বর ১১২-তে খবর দিন। ভবিষ্যতে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।