শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG)-এর একটি যৌথ বিশেষ দল বড়সড় এক প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল। বেশ কিছুদিন ধরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র (NIA) আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত
ধৃত তিন জন হল— এহসান আহমেদ, রেহান বাবর এবং মানিক রায়। এহসান ও রেহান উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা হলেও শিলিগুড়ির সেবক রোড এলাকায় থাকছিলেন। অপর অভিযুক্ত মানিক শিলিগুড়ির বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা রাহুল ঘোষ মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, এনআইএ আধিকারিক পরিচয়ে তাঁকে ফোন করে গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা আদায় করা হয়।
বাজেয়াপ্ত গাড়ি, মোবাইল ও নগদ
রাহুল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ২২ নভেম্বর মামলা রুজু করে। অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, তল্লাশিতে অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি আই-২০ গাড়ি, একটি স্কুটার, ৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং অভিযোগকারীর গুরুত্বপূর্ণ নথির ফোটোকপি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে আরও তথ্যের ইঙ্গিত
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানিয়েছেন, এই চক্রের বিরুদ্ধে আগেও প্রতারণার অভিযোগ ছিল এবং তারা ব্যবসায়ীদেরও নিশানা করত। তিনি বলেন, “ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। সব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন এবং অভিযুক্তদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের সঙ্গে আরও বহু ব্যক্তি যুক্ত থাকতে পারে।