জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তির দিন, ৫ আগস্ট, দিল্লিতে এনডিএ সাংসদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় সেনাকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ‘অপারেশন মহাদেব’-এর জন্য অভিনন্দন জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন।
এনডিএ সাংসদরা এক প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনন্য নেতৃত্ব এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের জন্য অভিনন্দন জানান। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ভারত আর কোনো ধরনের পরমাণু ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক সরকার এবং মাস্টারমাইন্ডদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হবে না। ভবিষ্যতে ভারতে কোনো জঙ্গি হামলা হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
এই বৈঠকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিজেপি এবং তার সহযোগী দল, যেমন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি), জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও অন্যান্য দলের সাংসদরা এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়ে বিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে গুলি করেছে।” এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আজ ৫ আগস্ট, যে দিনটিতে ৬ বছর আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এই বিশেষ দিনে দিল্লিতে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ‘বড় কিছু’ হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তপন কুমার ডেকার বৈঠকের পর এই জল্পনা আরও বেড়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জম্মু ও কাশ্মীরকে পুনরায় রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার মতো বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে কোনো সরকারি তথ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।