মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের করা মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ-র আইনি স্বীকৃতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলার শুরুতেই ডিএ আদৌ মৌলিক অধিকার কি না, তা নিয়ে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র সওয়াল-জবাব হয়।
শুনানির শুরুতে কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী দাবি করেন যে, ডিএ সরকারি কর্মীদের একটি মৌলিক অধিকার। এর পাল্টা জবাবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান যে, ডিএ-কে কোনোভাবেই মৌলিক অধিকার বলা যায় না। তিনি যুক্তি দেন, কর্মচারীদের ডিএ-র মৌলিক অধিকার হিসেবে কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই। তখন কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কেন্দ্র যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে পারে, রাজ্য কেন পারবে না?” উত্তরে সিব্বল বলেন, প্রতিটি রাজ্যে ডিএ নির্ধারণের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন।
রাজ্যের আইনজীবী শ্যাম দেওয়ান পুরোনো মামলার নজির তুলে ধরে বলেন, ডিএ কোনোভাবেই মৌলিক অধিকারের আওতায় পড়ে না। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালেও এই একই প্রশ্ন উঠেছিল। শুনানির প্রথমার্ধে এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে ডিএ-র ২৫ শতাংশ ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য তা দিতে ব্যর্থ হয়। সোমবারের শুনানিতে রাজ্য সরকার আরও সময় চেয়েছিল। রাজ্যের তরফে জানানো হয় যে, এই বিপুল পরিমাণ টাকা একবারে দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিনের শুনানিতে ডিএ-র মৌলিক অধিকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার ফলে মামলার গতিপ্রকৃতি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে।